প্রাচীন মিশরীয়, চীনা এবং ভারতীয়দের মধ্যে এ ধরনের হার্ব ও মসলার বিভিন্ন ব্যবহার দেখা যায়। প্রথমদিকে মিশরীয়রা শুধু ওষুধেই মসলা ও ভেষজ ব্যবহার করত না, প্রসাধনী, সুগন্ধি, রান্নায় এমনকি কীটপতঙ্গকে মেরে ফেলার জন্যেও ব্যবহার করত। পরবর্তীতে দেখা যায়, বিশেষ করে আদা, গোলমরিচ, লবঙ্গ, জয়ফল, দারচিনির আবিষ্কারগুলো ছিল অনেকটা নতুন পৃথিবী তৈরির উপকরণ হিসেবে। এই মসলাগুলো ইউরোপ ও ব্রিটেন চালু করেছিল। ক্রিস্টোফার কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেছিলেন স্পাইস দ্বীপপুঞ্জের নতুন সমুদ্রপথ অনুসন্ধান করতে গিয়ে। ১৪৯৮ সালে ভাস্কো দা গামা পর্তুগিজ নেভিগেটর দিয়ে স্পাইস দ্বীপপুঞ্জের একটি পথ আবিষ্কার করেছিলেন। ১৫২০ সালে যা দখলের জন্য পতুর্গিজ, ডাচ এবং ব্রিটিশদের মধ্যে যুদ্ধও হয়েছিল। এরপর আস্তে আস্তে মসলা ও ভেষজের উৎপাদন, সংরক্ষণ পদ্ধতির আধুনিকীকরণ হয়। পরিবহনের উন্নয়নে ভেষজ ও মসলা সর্বক্ষেত্রে তুলনামূলক সহজলভ্য হয়ে যায়।
এ বইয়ের মাধ্যমে দরকারি কিছু ভেষজ ও মসলার পরিচিতি, চাষ, প্রাপ্তিস্থান ও উপকারিতার তথ্য জানা যাবে। প্রত্যেকটি ভেষজের পুষ্টিগুণও নির্ণয় করা হয়েছে। বইটি মানুষের দীর্ঘ জীবনে নানা রোগ প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্যসচেতনতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ সহযোগিতায় ছিলেন আমার সহকারি পুষ্টিবিদ সানজিদা আফরিন।
ভেষজ ও মসলা সারাবিশ্ব জুড়ে চিকিৎসা, রান্না এবং উপভোগ্য বিষয়গুলোতে ব্যবহার হয়ে আসছে। ভেষজ বা হার্ব ও মসলা উদ্ভিজ উৎস থেকে আসে। একেকটি হার্ব বা ভেষজ আলাদা আলাদা গন্ধ ও বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়। তাদের একেকটি বৈশিষ্ট্যের গুণে ভেষজ ও মসলা নিজেদের অসাধারণ করে তোলে।
ভেষজ উদ্ভিদের সবুজ ও পাতলা অংশ। তাজা ব্যবহারে সবচেয়ে কার্যকর ও স্বাদ বিশিষ্ট। শীত থেকে গরম প্রধান অঞ্চলে বেশি জন্মে। মসলা, গাছের পাতা থেকে মূল পর্যন্ত যেকোনো অংশ থেকে তৈরি হয়। লবঙ্গ ফুলের কুঁড়ি, দারচিনি গাছের ছাল, আদা গাছের মূল, জিরা একটি ফল, এলাচ বীজ থেকে তৈরি। মসলা সাধারণত স্বল্প পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। শুকিয়ে ব্যবহারে এর স্বাদ বৃদ্ধি পায়।
প্রাগৈতিহাসিক যুগে, মানব পূর্বপুরুষরা তাদের রান্নার পাত্রে তীক্ষè স্বাদযুক্ত পাতা যুক্ত করেছিলেন। রোমিং শিকারি—সংগ্রহকারী দলগুলো পাতা, শিকড়, ফুল ও বীজ নিয়ে পরীক্ষা—নিরীক্ষা করেছিলেন। পরবর্তীতে এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে সে ফলাফল দেয়া হয়েছিল। সভ্যতার অগ্রগতি ও যাযাবর উপজাতিরা একেক জায়গায় বসতি স্থাপন করত। ভেষজ ও মসলা সেজন্য কেবল বন্য থেকেই সংগ্রহ করা হয়নি। বরং বাসস্থানের কাছাকছি ইচ্ছাকৃতভাবেও বপন করা হয়েছিল। কৃষিক্ষেত্রের শুরুতে উদ্ভিদগুলো খাদ্য, গন্ধ, জ্বালানি, সজ্জা, বিষ, চিকিৎসা ও অস্ত্রের জন্য ব্যবহার করা হতো। যা সভ্যতার উন্নতির সাথে সাথে ব্যবহারের পরিবর্তন ঘটেছে।
প্রাচীন মিশরীয়, চীনা এবং ভারতীয়দের মধ্যে এ ধরনের হার্ব ও মসলার বিভিন্ন ব্যবহার দেখা যায়। প্রথমদিকে মিশরীয়রা শুধু ওষুধেই মসলা ও ভেষজ ব্যবহার করত না, প্রসাধনী, সুগন্ধি, রান্নায় এমনকি কীটপতঙ্গকে মেরে ফেলার জন্যেও ব্যবহার করত। পরবর্তীতে দেখা যায়, বিশেষ করে আদা, গোলমরিচ, লবঙ্গ, জয়ফল, দারচিনির আবিষ্কারগুলো ছিল অনেকটা নতুন পৃথিবী তৈরির উপকরণ হিসেবে। এই মসলাগুলো ইউরোপ ও ব্রিটেন চালু করেছিল। ক্রিস্টোফার কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেছিলেন স্পাইস দ্বীপপুঞ্জের নতুন সমুদ্রপথ অনুসন্ধান করতে গিয়ে। ১৪৯৮ সালে ভাস্কো দা গামা পর্তুগিজ নেভিগেটর দিয়ে স্পাইস দ্বীপপুঞ্জের একটি পথ আবিষ্কার করেছিলেন। ১৫২০ সালে যা দখলের জন্য পতুর্গিজ, ডাচ এবং ব্রিটিশদের মধ্যে যুদ্ধও হয়েছিল। এরপর আস্তে আস্তে মসলা ও ভেষজের উৎপাদন, সংরক্ষণ পদ্ধতির আধুনিকীকরণ হয়। পরিবহনের উন্নয়নে ভেষজ ও মসলা সর্বক্ষেত্রে তুলনামূলক সহজলভ্য হয়ে যায়।
এ বইয়ের মাধ্যমে দরকারি কিছু ভেষজ ও মসলার পরিচিতি, চাষ, প্রাপ্তিস্থান ও উপকারিতার তথ্য জানা যাবে। প্রত্যেকটি ভেষজের পুষ্টিগুণও নির্ণয় করা হয়েছে। বইটি মানুষের দীর্ঘ জীবনে নানা রোগ প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্যসচেতনতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ সহযোগিতায় ছিলেন আমার সহকারি পুষ্টিবিদ সানজিদা আফরিন।
সৈয়দা শারমিন আক্তার
প্রধান পুষ্টিবিদ, ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টার
প্রাচীন মিশরীয়, চীনা এবং ভারতীয়দের মধ্যে এ ধরনের হার্ব ও মসলার বিভিন্ন ব্যবহার দেখা যায়। প্রথমদিকে মিশরীয়রা শুধু ওষুধেই মসলা ও ভেষজ ব্যবহার করত না, প্রসাধনী, সুগন্ধি, রান্নায় এমনকি কীটপতঙ্গকে মেরে ফেলার জন্যেও ব্যবহার করত। পরবর্তীতে দেখা যায়, বিশেষ করে আদা, গোলমরিচ, লবঙ্গ, জয়ফল, দারচিনির আবিষ্কারগুলো ছিল অনেকটা নতুন পৃথিবী তৈরির উপকরণ হিসেবে। এই মসলাগুলো ইউরোপ ও ব্রিটেন চালু করেছিল। ক্রিস্টোফার কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেছিলেন স্পাইস দ্বীপপুঞ্জের নতুন সমুদ্রপথ অনুসন্ধান করতে গিয়ে। ১৪৯৮ সালে ভাস্কো দা গামা পর্তুগিজ নেভিগেটর দিয়ে স্পাইস দ্বীপপুঞ্জের একটি পথ আবিষ্কার করেছিলেন। ১৫২০ সালে যা দখলের জন্য পতুর্গিজ, ডাচ এবং ব্রিটিশদের মধ্যে যুদ্ধও হয়েছিল। এরপর আস্তে আস্তে মসলা ও ভেষজের উৎপাদন, সংরক্ষণ পদ্ধতির আধুনিকীকরণ হয়। পরিবহনের উন্নয়নে ভেষজ ও মসলা সর্বক্ষেত্রে তুলনামূলক সহজলভ্য হয়ে যায়।
এ বইয়ের মাধ্যমে দরকারি কিছু ভেষজ ও মসলার পরিচিতি, চাষ, প্রাপ্তিস্থান ও উপকারিতার তথ্য জানা যাবে। প্রত্যেকটি ভেষজের পুষ্টিগুণও নির্ণয় করা হয়েছে। বইটি মানুষের দীর্ঘ জীবনে নানা রোগ প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্যসচেতনতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ সহযোগিতায় ছিলেন আমার সহকারি পুষ্টিবিদ সানজিদা আফরিন।
By সৈয়দা শারমিন আক্তার
Category: Herbs
ভেষজ ও মসলা সারাবিশ্ব জুড়ে চিকিৎসা, রান্না এবং উপভোগ্য বিষয়গুলোতে ব্যবহার হয়ে আসছে। ভেষজ বা হার্ব ও মসলা উদ্ভিজ উৎস থেকে আসে। একেকটি হার্ব বা ভেষজ আলাদা আলাদা গন্ধ ও বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়। তাদের একেকটি বৈশিষ্ট্যের গুণে ভেষজ ও মসলা নিজেদের অসাধারণ করে তোলে।
ভেষজ উদ্ভিদের সবুজ ও পাতলা অংশ। তাজা ব্যবহারে সবচেয়ে কার্যকর ও স্বাদ বিশিষ্ট। শীত থেকে গরম প্রধান অঞ্চলে বেশি জন্মে। মসলা, গাছের পাতা থেকে মূল পর্যন্ত যেকোনো অংশ থেকে তৈরি হয়। লবঙ্গ ফুলের কুঁড়ি, দারচিনি গাছের ছাল, আদা গাছের মূল, জিরা একটি ফল, এলাচ বীজ থেকে তৈরি। মসলা সাধারণত স্বল্প পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। শুকিয়ে ব্যবহারে এর স্বাদ বৃদ্ধি পায়।
প্রাগৈতিহাসিক যুগে, মানব পূর্বপুরুষরা তাদের রান্নার পাত্রে তীক্ষè স্বাদযুক্ত পাতা যুক্ত করেছিলেন। রোমিং শিকারি—সংগ্রহকারী দলগুলো পাতা, শিকড়, ফুল ও বীজ নিয়ে পরীক্ষা—নিরীক্ষা করেছিলেন। পরবর্তীতে এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে সে ফলাফল দেয়া হয়েছিল। সভ্যতার অগ্রগতি ও যাযাবর উপজাতিরা একেক জায়গায় বসতি স্থাপন করত। ভেষজ ও মসলা সেজন্য কেবল বন্য থেকেই সংগ্রহ করা হয়নি। বরং বাসস্থানের কাছাকছি ইচ্ছাকৃতভাবেও বপন করা হয়েছিল। কৃষিক্ষেত্রের শুরুতে উদ্ভিদগুলো খাদ্য, গন্ধ, জ্বালানি, সজ্জা, বিষ, চিকিৎসা ও অস্ত্রের জন্য ব্যবহার করা হতো। যা সভ্যতার উন্নতির সাথে সাথে ব্যবহারের পরিবর্তন ঘটেছে।
প্রাচীন মিশরীয়, চীনা এবং ভারতীয়দের মধ্যে এ ধরনের হার্ব ও মসলার বিভিন্ন ব্যবহার দেখা যায়। প্রথমদিকে মিশরীয়রা শুধু ওষুধেই মসলা ও ভেষজ ব্যবহার করত না, প্রসাধনী, সুগন্ধি, রান্নায় এমনকি কীটপতঙ্গকে মেরে ফেলার জন্যেও ব্যবহার করত। পরবর্তীতে দেখা যায়, বিশেষ করে আদা, গোলমরিচ, লবঙ্গ, জয়ফল, দারচিনির আবিষ্কারগুলো ছিল অনেকটা নতুন পৃথিবী তৈরির উপকরণ হিসেবে। এই মসলাগুলো ইউরোপ ও ব্রিটেন চালু করেছিল। ক্রিস্টোফার কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেছিলেন স্পাইস দ্বীপপুঞ্জের নতুন সমুদ্রপথ অনুসন্ধান করতে গিয়ে। ১৪৯৮ সালে ভাস্কো দা গামা পর্তুগিজ নেভিগেটর দিয়ে স্পাইস দ্বীপপুঞ্জের একটি পথ আবিষ্কার করেছিলেন। ১৫২০ সালে যা দখলের জন্য পতুর্গিজ, ডাচ এবং ব্রিটিশদের মধ্যে যুদ্ধও হয়েছিল। এরপর আস্তে আস্তে মসলা ও ভেষজের উৎপাদন, সংরক্ষণ পদ্ধতির আধুনিকীকরণ হয়। পরিবহনের উন্নয়নে ভেষজ ও মসলা সর্বক্ষেত্রে তুলনামূলক সহজলভ্য হয়ে যায়।
এ বইয়ের মাধ্যমে দরকারি কিছু ভেষজ ও মসলার পরিচিতি, চাষ, প্রাপ্তিস্থান ও উপকারিতার তথ্য জানা যাবে। প্রত্যেকটি ভেষজের পুষ্টিগুণও নির্ণয় করা হয়েছে। বইটি মানুষের দীর্ঘ জীবনে নানা রোগ প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্যসচেতনতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ সহযোগিতায় ছিলেন আমার সহকারি পুষ্টিবিদ সানজিদা আফরিন।
সৈয়দা শারমিন আক্তার
প্রধান পুষ্টিবিদ, ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টার